সুষম খাদ্য কাকে বলে

সুষম খাদ্য কাকে বলে? সুষম খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা

মানবদেহের সকল প্রয়োজনীয় উপাদান যে খাদ্য উপস্থিত থাকে সেই খাদ্যকেই সুষম খাদ্য বলে। খাদ্য মানব জীবনের অত্যাবশ্যকীয় একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। খাদ্য ছাড়া কোন প্রাণী বেঁচে থাকতে পারেনা।

তেমনিভাবে মানুষেরও বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়। যেসব খাদ্যের মধ্যে মানুষের প্রয়োজনে সার্বিক পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে পারে এরকম ধরনের সকল উপাদান থাকে তাদেরকে সুষম খাদ্য বলা হয়। সুষম খাদ্য প্রত্যেকটা মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রত্যেকের তা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরী। 

সুষম খাদ্য সম্পর্কে যেহেতু আমাদের জানা অত্যন্ত জরুরি। তাই এই সম্পর্কে আজকে আমরা বিস্তারিত এবং পরিষ্কার আলোচনা করব। চলুন তাহলে শুরু করা যাক সুষম খাদ্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা।

সুষম খাদ্য কাকে বলে

সুষম খাদ্য কাকে বলে?

মানবদেহের সকল প্রয়োজনীয় উপাদান যে খাদ্য উপস্থিত থাকে সেই খাদ্যকেই সুষম খাদ্য বলে। যা আমাদের নিয়মিত এবং প্রতিদিন খাওয়া প্রয়োজন আমাদের শরীরকে সুস্থ এবং সুন্দর রাখার জন্য।

আরও জানুনঃ পৌরনীতি কাকে বলে?

সুষম খাদ্য

সুষম খাদ্যে আমাদের দেহের জন্য প্রয়োজনে ছয়টি খাদ্য উপাদান অবশিষ্ট বা উপস্থিত থাকে। এই ছয়টি খাদ্য উপাদান গুলো হল শর্করা ,  আমিষ, স্নেহ বা চর্বি জাতীয় খাবার ভিটামিন খনিজ লবণ ও পানি। এই সকল ছয়টি উপাদান এই সুষম খাদ্যের মধ্যে পাওয়া যায়।

সুষম খাদ্য কাকে বলে

সুষম খাদ্য চেনার উপায়

 আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য আমাদের সুষম খাদ্য খাবার প্রয়োজন আর এই সুষম খাবার খাওয়ার প্রথম এবং প্রধান শর্ত হলো আমাদের এই সুষম খাদ্য গুলো  চেনার প্রয়োজন। কারণ আমরা সুষম খাদ্য না চিনলে আমরা তা পূরণ করতে পারব না। সুষম খাদ্য চেনার কিছু সহজ উপায় বৈশিষ্ট্য নিচে দেওয়া হলঃ

আরও জানুনঃ ট্রাফিক কাকে বলে?

  • এ ধরনের খাদ্যের মধ্যে মানবদেহের জন্য উপকারী সকল ধরনের উপাদান অবশিষ্ট বা উপস্থিত থাকে।
  •  এই খাবারের মধ্যে খাদ্য উপাদানের ছয়টি উপাদান নিয়ে অবশিষ্ট বা উপস্থিত থাকে। অর্থাৎ ভিটামিন , শর্করা ,  আমিষ, স্নেহ বা  চর্বি জাত খাবার   খনিজ লবণ ,পানি সকল উপাদান উপস্থিত থাকে।

সুষম খাদ্যের কিছু উদাহরণ হল ডিম ,দুধ  ও দুগ্ধ জাত খাবার ইত্যাদি।

সুষম খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা

আরও জানুনঃ মাটি কাকে বলে?

  • স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ সরবরাহ করে।
  • ক্যালরি গ্রহণ নিয়ন্ত্রণ করে শরীরের স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে সাহায্য করে।
  • সারাদিন ধরে সামঞ্জস্যপূর্ণ শক্তির যোগান বজায় রাখে।
  • হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং নির্দিষ্ট কিছু ক্যান্সারের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।
  • নিয়মিত অন্ত্রের গতিবিধি সচল রাখে এবং অন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সহযোগিতা করে।
  • মস্তিষ্কের কার্যকারিতা এবং জ্ঞানীয় কর্মক্ষমতা বাড়ায়।
  • মেজাজ এবং মানসিক সুস্থতাকে প্রভাবিত করে, বিষণ্নতা এবং উদ্বেগের ঝুঁকি হ্রাস করে।

শেষ কথা

যেহেতু মানব শরীরকে সুস্থ এবং সবল রাখতে সুষম খাদ্যের কোন বিকল্প উপায় আমরা দেখি না তাই আমাদের প্রয়োজন সুষম খাদ্য খুব ভালোভাবে চেনা এবং এগুলো প্রতিনিয়ত আমাদের খাদ্য তালিকায় যুক্ত করা এবং প্রতিনিয়ত তা গ্রহণ করা।

সুষম খাদ্য গ্রহণের পূর্ব শর্ত হলো তা আমাদের ভালোভাবে চিহ্নিত করা এবং তা কোথায় পাব সে সম্পর্কে জানা। সুষম খাদ্য সঠিকভাবে চিহ্নিত করার জন্য উপরে লিখিত আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি খুব সহজেই সুষম খাদ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং সুষম খাদ্য চিহ্নিত করতে পারবেন। আপনি যদি ওপরে লেখাটি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আপনাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *