শ্বসন-কাকে-বলে

শ্বসন কাকে বলে? কত প্রকার ও কি।

শ্বসন হলো একটি বিপাকীয় ক্রিয়া, যেখানে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় খাদ্যের দৈহিক জারণের ফলে খাদ্য স্থিতিশক্তি এবং শক্তিতে রূপান্তরিত হয় এবং অক্সিজেনের উপস্থিতিতে বা অনুপস্থিতিতে মুক্ত হয়। এই প্রক্রিয়া প্রাণীদের পরিবেশ থেকে অক্সিজেন গ্রহণ এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড ত্যাগে সহায়ক হয়।

শ্বসন কাকে বলে

শ্বসন কাকে বলে ও কত প্রকার ও কি।

এটি একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া যেখানে নির্দিষ্ট ব্যাকটেরিয়া মাটি বা জলের নাইট্রেটকে নাইট্রোজেন গ্যাসে রূপান্তর করে, বায়ুমণ্ডলে ছেড়ে দেয়। এটি বাস্তুতন্ত্রের অতিরিক্ত নাইট্রোজেন কমাতে সাহায্য করে, যা ক্ষতিকারক হতে পারে। 

পরিবেশে নাইট্রোজেনের ভারসাম্য বজায় রাখতে শ্বসন  প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শ্বসন দুই প্রধান প্রকারে বিভক্ত হয়: সবাত শ্বসন এবং অবাত শ্বসন।

আরও পড়ুনঃ ভগ্নাংশ কাকে বলে?

১. সবাত শ্বসন: 

এই প্রকারের শ্বসনে অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়, এবং শ্বসনিক বস্তু সম্পূর্ণভাবে জারিত হয়। এটে সবাত শ্বসন বলে। এই প্রক্রিয়ায় শ্বসনিক বস্তু CO2, H2O, এবং বিপুল পরিমাণে শক্তি উৎপন্ন করে।

২. অবাত শ্বসন: 

এই প্রকারের শ্বসনে কোনো শ্বসনিক বস্তু অক্সিজেনের সাহায্যে ছাড়াই কোষ মধ্যস্থ এনজাইম দ্বারা আংশিকরূপে জারিত হয়। এই প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন প্রকার জৈব যৌগ CO2এবং সামান্য পরিমাণে শক্তি উৎপন্ন হয় যাকে অবাত শ্বসন বলা হয়

শ্বসন প্রক্রিয়া প্রাণীর জীবনে গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা, যা জৈব সম্প্রদানে অধ্যায়ন করে আমরা পরিবেশের নিট্রোজেন স্তর এবং প্রাণীর শ্বসনিক প্রদান সম্পর্কে বেশি জানতে সাহায্য করতে পারি।

আরও পড়ুনঃ ত্রিভুজ কাকে বলে?

কোষীয় শ্বসন কাকে বলে? 

কোষীয় শ্বসন হলো একটি জৈবিক প্রক্রিয়া যেখানে কোষ বা সেল স্বাধীনভাবে অক্সিজেন ব্যবহার করে খাদ্যের দৈহিক জারণ করে। এই প্রক্রিয়া সম্প্রদানে নাইট্রোজেন, গ্লুকোজ, এবং অন্যান্য জৈব যৌগগুলির অক্সিডেশনের মাধ্যমে শক্তি উৎপন্ন করে এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড এবং পানি উৎপন্ন করে। কোষীয় শ্বসন সেলুলার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা, যা খাদ্যের উৎপাদনে এবং প্রাণীর জীবনে শক্তির সরবরাহে সহায়ক হয়। 

শ্বসন প্রক্রিয়া কি?

শ্বসন  প্রক্রিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ জৈবিক  প্রক্রিয়া, যেখানে প্রাণীরা খাদ্য জানার সময় অক্সিজেন ব্যবহার করে খাদ্যের দৈহিক জারণ করে। এই প্রক্রিয়ায় খাদ্যের উপাদান, মূলভাবে গ্লুকোজ এবং অন্যান্য জৈব যৌগ, অক্সিডেশনের মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন হয় এবং শক্তি উৎপন্ন করে। এই প্রক্রিয়ার ফলে কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO2) এবং পানি (H2O) উৎপন্ন হয়, এবং এই প্রক্রিয়া থেকে এনার্জি উৎপন্ন হয় যা প্রাণীর শক্তি সরবরাহ করে।

শ্বসন প্রক্রিয়া ব্যক্তিগত জীবনে খাদ্য পরিপাকের জন্য জরুরী এবং প্রাণীদের শক্তি সরবরাহে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। এটি প্রাণীদের জীবনকে সমর্থন দেয়। শ্বসন প্রক্রিয়া পরিবেশে নাইট্রোজেন স্তরের সম্পর্কে সাথে যৌগিক বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং সম্প্রদানের দিকে নজর দেওয়া উচিত। 

শ্বসন প্রক্রিয়ায় মোট কত অণু এটিপি উৎপন্ন হয়?

শ্বসন প্রক্রিয়ায় মোট ৪টি অণু (এটিপি) উৎপন্ন হয়। চারটি এটিপি হলঃ (এডেনোসিন ট্রাইফোসফেট) মোলেকুল থেকে প্রাপ্ত শক্তি প্রদানের জন্য: প্রাথমিক স্থানে, প্রথম দুটি শ্বসনের প্রক্রিয়ায় প্রতিটি এটিপি উৎপন্ন হয় দুটি পরিবর্তিত ক্যারিয়াস্ট ক্রিয়া স্টেজে এবং পরবর্তী দুটি শ্বসনের প্রক্রিয়ায় প্রতিটি এটিপি উৎপন্ন হয় দুটি ক্যারিয়াস্ট ক্রিয়া স্টেজে। সুতরাং, একটি শ্বসনে মোট চারটি এটিপি উৎপন্ন হয়। 

পরিশেষে

শ্বসন একটি জৈবিক প্রক্রিয়া যা প্রাণীদের শক্তি সরবরাহ করে এবং পরিবেশের নাইট্রোজেন স্তর নিয়ন্ত্রণ করে। এটি দুই প্রধান প্রকারে হতে পারে: সবাত এবং অবাত শ্বসন। মোট ৪টি এটিপি মোলেকুল উৎপন্ন হয় এই প্রক্রিয়ায়। শ্বসন প্রক্রিয়া প্রাণীর জীবনে গুরুত্বপূর্ণ এবং পরিবেশের স্থিতিশক্তি বজায় রাখতে সহায়ক।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *