রসায়ন কাকে বলে

রসায়ন কাকে বলে? রসায়ন কত প্রকার ও কি কি?

রসায়ন হলো পদার্থের উপাদান, কাঠামো, ধর্ম এবং পারস্পরিক ক্রিয়া-বিক্রিয়া নিয়ে গবেষণা করা বিজ্ঞানের একটি শাখা। এটি পরমাণু ও অণুর গঠন এবং বৈশিষ্ট্য নিয়ে কাজ করে।

রসায়ন কাকে বলে

রসায়ন কাকে বলে? রসায়নের জনক কে?

রসায়ন হলো পদার্থের উপাদান, কাঠামো, ধর্ম এবং তাদের মধ্যে ঘটতি ক্রিয়া-বিক্রিয়া সংক্রান্ত বিজ্ঞানের একটি শাখা। এটি পরমাণু, অণু, মলেকিউল এবং তাদের বৈশিষ্ট্য, আচরণ এবং পারস্পরিক ক্রিয়াকলাপ নিয়ে গবেষণা করে। রসায়ন বিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা হিসেবে গণ্য হয়, কারণ এটি প্রায় সব কিছুর সাথে সম্পর্কিত।

আরও জানুনঃ এসিড কাকে বলে?

রসায়নের ‘জনক’ বলা হয়ে থাকে বিভিন্ন বিজ্ঞানীর নাম, কিন্তু একজন বিজ্ঞানীকে এই শিরোনাম দেওয়া কিছুটা কঠিন। তবে, রবার্ট বয়েল (Robert Boyle) এবং অ্যান্টোনি ল্যাভয়শিয়ে(Antoine Lavoisier) এই শিরোনামের জন্য প্রার্থী। রবার্ট বয়েল প্রথমে রসায়ন ও আলকেমির মধ্যে পার্থক্য তৈরি করেন। 

অ্যান্টোনি ল্যাভয়শিয়ে হলেন রসায়নের মৌলিক নিয়ম ও থিওরির প্রবর্তক। তিনি প্রথমে অক্সিজেন এবং হাইড্রোজেনের আবিষ্কার করেন এবং জ্বালানি ও শ্বাসক্রিয়ার প্রক্রিয়া বুঝতে সাহায্য করেন।

আরও জানুনঃ শ্রেণিবিন্যাস কাকে বলে?

তাদের কাজের ফলে রসায়ন একটি পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞানের মতো উন্নতি পেয়েছে। এরা রসায়নের জনক হিসেবে মনে করা হয়।

রসায়ন কাকে বলে

রসায়ন কত প্রকার ও কি কি?

রসায়ন বিজ্ঞানের একটি বিস্তৃত ক্ষেত্র এবং এটি বিভিন্ন শাখা বা প্রকারে ভাগ করা যাকে। নিম্নলিখিত হল কিছু প্রধান প্রকার:

আরও জানুনঃ অরবিটাল কাকে বলে?

  • জানস রসায়ন (Organic Chemistry): কার্বন ভিত্তিক যৌগের সাথে সম্পর্কিত।
  • অজানস রসায়ন (Inorganic Chemistry): কার্বন ছাড়া অন্যান্য মৌলের সাথে সম্পর্কিত।
  • প্রয়োগিক রসায়ন (Analytical Chemistry): পদার্থের রাসায়নিক গঠন ও পরিমাণ নির্ধারণের প্রক্রিয়া।
  • ভৌত রসায়ন (Physical Chemistry): রাসায়নিক ক্রিয়াকলাপ এবং পদার্থের ভৌত বৈশিষ্ট্যের মধ্যে সম্পর্ক।
  • বায়োরসায়ন (Biochemistry): জীবনের রাসায়নিক প্রক্রিয়া ও ক্রিয়াকলাপের সাথে সম্পর্কিত।
  • থিওরেটিক্যাল রসায়ন (Theoretical Chemistry): রাসায়নিক ক্রিয়াকলাপ ও বৈশিষ্ট্য বোঝার জন্য গাণিতিক মডেল ও সিমুলেশন ব্যবহার করে।
  • ন্যুক্লিয়ার রসায়ন (Nuclear Chemistry): রেডিওয়েক্টিভ পদার্থ ও ন্যুক্লিয়ার ক্রিয়াকলাপের সাথে সম্পর্কিত।
  • পরিবেশ রসায়ন (Environmental Chemistry): পরিবেশের রাসায়নিক প্রক্রিয়া ও প্রদূষণের সাথে সম্পর্কিত।
  • ফার্মাসিউটিক্যাল রসায়ন (Pharmaceutical Chemistry): ঔষধ ও ঔষধির রাসায়নিক গঠনের সাথে সম্পর্কিত।
  • ন্যানোরসায়ন (Nanotechnology): অতি ছোট পরিমাণে পদার্থের রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য ও ক্রিয়াকলাপের সাথে সম্পর্কিত।

এই প্রকারগুলি রসায়নের বিভিন্ন দিক ও ক্ষেত্রে গবেষণা করে এবং তাদের মধ্যে অনেক উপশাখা ও স্পেশালাইজেশন রয়েছে।

সমাপ্তি: 

রসায়ন একটি বিজ্ঞানের শাখা, যা পদার্থের গঠন, ধর্ম, ও রাসায়নিক প্রক্রিয়াগুলি নিয়ে গবেষণা করে। এটি আমাদের প্রাকৃতিক ও রাসায়নিক পরিবেশের উপর প্রভাব ফেলে এবং বিভিন্ন প্রকারে ভাগ হয়ে থাকে। রসায়ন বিজ্ঞানের গুরুত্ব অত্যন্ত এবং বিশেষজ্ঞতা নিয়ে নিজেকে দেখিয়ে দিয়েছে, এবং রসায়নের জনক ও প্রবর্তক বিজ্ঞানীদের যথার্থতা ও কাজের উন্নতি স্পষ্ট করেছে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *