রম্বস কাকে বলে? রম্বসের বৈশিষ্ট্য সমূহ
আমরা যদি খুব ভালোভাবে জ্যামিতি সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে চাই তাহলে রম্বস সম্পর্কে আমাদের অবশ্যই ধারণা রাখতে হবে। রম্বস হল যে চতুর্ভুজের চারটি বাহু সমান কিন্তু কোনগুলো সমকোণ নয়। রম্বস সম্পর্কে আরো বিস্তারিত আলোচনা নিচে করা হলো সবাই মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে চলুন শুরু করা যাক রম্বস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা।
Table of Contents
রম্বস কাকে বলে?
আমরা সকলেই জানি যে জ্যামিতি বিজ্ঞানের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হলো চতুর্ভুজ। আর এই চতুর্ভুজ বিভিন্ন প্রকারভেদের হয়ে থাকে। এই চতুর্ভুজের একটি প্রকারভেদ হল এই রম্বস।
আরও জানুনঃ চতুর্ভুজ কাকে বলে?
রম্বস হল এমন একটি চতুর্ভুজ যার চারটি বাহুই সমান কিন্তু এর কোনগুলো সমকোণ নয় বা ৯০ ডিগ্রি নয়। অর্থাৎ রম্বসের কোনগুলো একটু বাঁকানো হয়ে থাকে। রম্বই দেখতে অনেকটা বর্গের মতো হলেও এটি বর্গ নয়। কারণ বর্গের ক্ষেত্রে রম্বসের ন্যায় চারটি বাহু সমান হলেও বর্গের চারটি কোণই সমকোণ হয়ে থাকে অর্থাৎ চারটি কোণ এক সমকোণ বা ৯০° হয়ে থাকে। কিন্তু অপরদিকে রম্বসের চারটি কোন এক সমকোণ বা ৯০ ডিগ্রী হয় না ।
সহজভাবে বলা যায়, চারটি বাহু দ্বারা সীমাবদ্ধ ক্ষেত্র যার একটি কোণ ও সমকোণ নয় তাকে রম্বস বলে। অর্থাৎ রম্বসের সাথে বর্গের মূল পার্থক্য হল এই কোণের মধ্যে কার পার্থক্য।
রম্বসের বৈশিষ্ট্য সমূহ
চতুর্ভুজের অনেকগুলো প্রকারভেদ এর মধ্যে রম্বস অন্যতম একটি প্রকারভেদ। প্রত্যেকটি প্রকারভেদের আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে ।তেমনি ভাবে রম্বসের ও কিছু আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা নিচে আলোচনা করা হলোঃ
আরও জানুনঃ সমকোণ কাকে বলে?
- রম্বসের চারটি বাহু রয়েছে এবং বাহু চারটির পরিমাপ একই সমান হয়ে থাকে।
- রম্বসের চারটি কোন রয়েছে কিন্তু কোন গুলো এক সমকোণ বা ৯০ ডিগ্রি হয় না। রম্বসের কোন গুলো একটু বাকানো আকারের হয়ে থাকে।
- রম্বসের দুই টি কর্ণ রয়েছে।
- রম্বসের এই দুটি কর্ণ দ্বারা সমান চারটি ভাগে চারটি ত্রিভুজ উৎপন্ন করে বা তৈরি করে।
- রম্বসের ক্ষেত্রফল মূলত এই কর্ণদ্বয়ের উপরই নির্ভর করে থাকে। অর্থাৎ ক্ষেত্রপাল নির্ণয় করতে হলে এই কর্নদয়ের পরিমাপ জানা থাকার প্রয়োজন পড়ে।
- রম্বসের কর্ণদ্বয় কখনো সমান হয় না।
- রম্বসের কর্ণদ্বয় পরস্পরকে সমকোণে সমদ্বিখণ্ডিত করে।
- রম্বসের সন্নিহিত কোন দ্বয়ের সমষ্টি দুই সমকোণ বা ১৮০° হয়ে থাকে।
রম্বসের সূত্র সমূহ
রম্বসের ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের সূত্রঃ ১ /২*(কর্ণদ্বয়ের দৈর্ঘ্যের গুণফল) বর্গ একক।
রম্বসের পরিসীমা নির্ণয়ের সূত্রঃ ৪* একটি বাহুর দৈর্ঘ্য
এই সূত্রগুলো আমাদের সর্বদা মনে রাখার প্রয়োজন ।কারণ এই সূত্রগুলো সর্বদা আমাদের গণিত বা অংক করার সময় প্রয়োজন হবে ।
শেষ কথা
যেহেতু জ্যামিতিতে আমরা ভালো করতে চাইলে আমাদের অবশ্যই চতুর্ভুজ সম্পর্কে এবং একই সাথে যে রম্বস সম্পর্কে বা এর ব্যবহার সম্পর্কে একে চেনার উপায় সম্পর্কে জানা দরকার।
আরও জানুনঃ ত্রিভুজ কাকে বলে?
সেই জন্য অবশ্যই আপনাদের উপরের লেখাটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে তাহলে আপনারা এ সম্পর্কে এবং তার চেনার উপায় সম্পর্কে খুব সহজেই জানতে পারবো। আর আপনি যদি এই পোস্ট সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আপনাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ।