বৃত্ত-কাকে-বলে

বৃত্ত কাকে বলে? বৃত্তের বৈশিষ্ট্য

একটি নির্দিষ্ট বিন্দুকে কেন্দ্র করে সর্বদা সমান দূরত্ব বজায় রেখে কোন একটি বিন্দু তার চারদিকে একবার ঘুরে এলে যে ক্ষেত্র তৈরি হয় তাকে বৃত্ত বলে।

জ্যামিতির একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রধান অংশগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো বৃত্ত। জ্যামিতি সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের অবশ্যই বৃত্ত সম্পর্কে আগে জেনে নিতে হবে। বৃত্ত সম্পর্কে সম্পূর্ণ বিস্তারিত জানতে নিচের লিখাটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে করতে হবে। 

বৃত্ত কাকে বলে

বৃত্ত কাকে বলে?

একটি নির্দিষ্ট বিন্দুকে কেন্দ্র করে সর্বদা সমান দূরত্ব বজায় রেখে যে বক্ররেখা ঘুরে আসে তাকে বৃত্ত বলা হয়।  অর্থাৎ বৃত্ত সর্বদা একটি বিন্দুকে কেন্দ্র করে সমান দূরত্ব বজায় রেখে তার চারপাশে একবার ঘুরে  আসবে।

অর্থাৎ বলা যায় যে ওই নির্দিষ্ট বিন্দু থেকে তার চারিদিকে সমান দূরত্ব অতিক্রম করে চারদিকে ঘুরে আসাকে এই বৃত্ত বলা হবে। বৃত্তের কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা সম্পর্কে আমরা জানবো। 

বৃত্ত কাকে বলে

বৃত্তের বৈশিষ্ট্য সমূহ?

  • বৃত্তের অনেকগুলো বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা সম্পর্কে নিজে  আলোচনা করা হলো
  • বৃত্ত সাধারণত দেখতে গোলাকার হয়ে থাকে
  • এর একটিমাত্র কেন্দ্র থাকে
  • বৃত্তের কোন ৩৬০ ডিগ্রি হয়ে থাকে।
  • বৃত্তের কোণ হলো চার সমকোণ বা দুই সরল কোণের সমান

আরও পড়ুনঃ ত্রিভুজ কাকে বলে?

বৃত্তের বিভিন্ন অংশ এবং তার সংজ্ঞাঃ 

বৃত্তের বিভিন্ন অংশ
  • কেন্দ্রঃ যে বিন্দুকে কেন্দ্র করে একটি বৃত্ত আঁকা হয় তাকে বৃত্তের কেন্দ্র  বলা হয়।বৃত্তের শুধুমাত্র একটি কেন্দ্র থাকে। 
  • পরিধিঃ একটি বৃত্তের কেন্দ্র হতে সময়  দূরত্ব বজায় রেখে কোন বিন্দুর চলার পথকে পরিধি বলা হয়। পরিধিকে 2πrদ্বারা প্রকাশ করা হয়।
  • বৃত্তচাপঃ বৃত্তের পরিধি যে কোন অংশকে বিত্ত চাপ বলা হয়। মনে রাখতে হবে অর্ধবৃত্ত কোন এক সমকোণ।
  • জ্য়াঃ  পরিধির যে কোন দুই বিন্দুর সংযোজক রেখাংশকে জ্য়া বলা হয়। মনে রাখতে হবে বৃত্তের  ব্যাসই হলো বৃত্তের বৃহত্তম জ্য়া। বৃত্তের সমান সমান জ্য়া কেন্দ্র হতে সম দূরবর্তী।
  • বৃত্তের ব্যাসঃ  বৃত্তের কেন্দ্রগামী সকল জ্য়াকেই বৃত্তের ব্যাস বলা হয়। মনে রাখতে হবে ব্যাস হল ব্যাসার্ধের  দ্বিগুণ।
  • ব্যাসার্ধঃ একটি বৃত্তের কেন্দ্র হতে পরিধি পর্যন্ত দূরত্বকে ব্যাসার্ধ বলে। ব্যাসার্ধ  ব্যাসের অর্ধেক। 

আরও পড়ুনঃ মৌলিক সংখ্যা কাকে বলে?

মনে রেখোঃ

  1. একই সরল রেখায় অবস্থিত নয় এমন তিনটি বিন্দু দিয়ে একটি ও কেবলমাত্র একটি বৃত্ত আঁকা সম্ভব।
  2.  একই সরল রেখা অবস্থিত এমন তিনটি বিন্দুর মধ্য দিয়ে কোন ধরনের বৃত্ত  আঁকা সম্ভব নয়। 
  3. দুইটি নির্দিষ্ট বিন্দু দিয়ে অসংখ্য বৃত্ত আঁকা যায়।
  4. পরিস্থ কোন বা বৃত্তস্থ কোন একই কথা।
  5.  বৃত্তের একই চাপের উপর দণ্ডায়মান  বিত্তস্থ কোন কেন্দ্রস্থ কোণের অর্ধেক।
  6.  বৃত্তের যে কোন জ্য়া এর লম্ব দ্বিখন্ড কেন্দ্রগামী।
  7. বৃত্তের দুটি জ্য়া এর মধ্যে কেন্দ্রের নিকটতম জ্য়াটি অপর জ্য়া অপেক্ষা বৃহত্তম। 
  8. বৃত্তের বহিঃস্থ যেকোনো বিন্দুতে কেবল একটি স্পর্শক আঁকা যায়।
  9. বৃত্তের বহিঃস্থ কোন বিন্দু হতে ঐ বৃত্তের উপর দুইটি স্পর্শক টানা সম্ভব।
  10.  যে কোন বিন্দুতে অঙ্কিত স্পর্শক স্পর্শ বিন্দুগামী ব্যাসার্ধের উপর লম্ব।

আরও পড়ুনঃ সামান্তরিক কাকে বলে?

শেষ কথা

বৃত্ত হল গুরুত্বপূর্ণ একটি গাণিতিক এবং জ্যামিতিক উপাদান । জ্যামিতি ভালোভাবে জানতে এবং শিখতে আমাদের অবশ্যই বিত্ত সম্পর্কে সম্পূর্ণ পরিষ্কার ধারণা থাকা অবশ্যক। 

এজন্য আমাদের বৃত্ত সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা রাখার জন্যই এই পোস্টটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে তাহলে আমরা বৃদ্ধ সম্পর্কে সঠিক এবং পরিষ্কার ধারণা  লাভ করতে পারব।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *