বিড়ালের বৈশিষ্ট্য

বিড়ালের কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য ।। আপনারও জানা জরুরী

বিড়ালের প্রধান বৈশিষ্ট্য গুলোর মধ্যে এর পরিচ্ছন্নতা,  চঞ্চলতা,  এবং শিকারি মনোভাব। এছাড়াও এর আরো অনেকগুলো বৈশিষ্ট্য রয়েছে যেগুলো তার আচার-আচরণ এবং শারীরিক গড়নের মাধ্যমে প্রকাশ পায়।

আমরা আমাদের আলোচনায় বাংলাদেশ এবং ভারতীয় উপমহাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় পোষা প্রাণী বিড়াল এর বৈশিষ্ট্য গুলো নিয়ে আলোচনা করব তাহলে দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।

বিড়ালের বৈশিষ্ট্য

বিড়ালের ৭ টি প্রধান বৈশিষ্ট্য

বিড়ালের শারীরিক বৈশিষ্ট্য গুলো সকলের জানা। এর চারটি পা, একটি লেজ, ছোট ছোট কান, এগুলো আছে। তবে এর আচরণগত বৈশিষ্ট্য গুলো সকলের জানা প্রয়োজন। 

স্বাধীন প্রকৃতি

বিড়াল তাদের স্বাধীন আচরণের জন্য পরিচিত। তারা প্রায়শই একা সময় কাটাতে পছন্দ করে এবং অন্যান্য পোষা প্রাণীর মতো ততটা মনোযোগের প্রয়োজন নাও হতে পারে। এটি কুকুরের মত অতটা প্রভুভক্ত নয়।  মন চাইলেই বিড়াল তার মনিবের বাড়ি ত্যাগ করতে পারে।

চঞ্চল প্রকৃতির

বিড়ালের অনেকগুলো প্রজাতি রয়েছে।  তবে এর মধ্যে প্রত্যেকটি প্রজাতি প্রচুর চঞ্চল।  যদিও এরা ঘুমাতে পছন্দ করে কিন্তু যেটুকু সময় তারা না ঘুমিয়ে কাটায় সেটুকু সময় তারা খুবই প্রাণ চঞ্চল থাকে।  বিড়ালের শিকার কৌশল দেখলেই আপনি এর চঞ্চলতা টের পাবেন। 

শিকারি

আগেই বলেছিলাম বাংলাদেশ এবং ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষ বিড়ালকে অনেক আগে থেকেই পুষে থাকে।  এর প্রধান কারণই কিন্তু বিড়ালের শিকারি মনোভাব।  বিড়াল মানুষের শত্রু ইঁদুরকে শিকার করে।  এবং এটি বিড়ালের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য।  এটিকে বিড়ালের গুণও বলতে পারেন।

বিড়াল খুবই পরিচ্ছন্ন

আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন বিড়াল যেখানে সেখানে মলত্যাগ করে না।  আবার করলেও সেটা মাটি দিয়ে ঢেকে রাখে।  এটা তার পরিচ্ছন্নতারই বহিঃপ্রকাশ।  এছাড়াও বিড়াল নিজের শরীরে কখনো মাটি লাগতে দেয় না। সে তার জিব্বা দিয়ে পুরো শরীরকে সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখে।  শরীরের লোম গুলি পুরনো হয়ে গেলে সে তার জিব্বা দিয়ে পুরনো লোমগুলো ঝেড়ে ফেলে দেয়। 

বিড়াল খুবই কৌতুহলী 

যে কোন বিড়াল তার আশেপাশের নতুন কোন জিনিস দেখলে সেটি সম্পর্কে খুবই আগ্রহী হয় এবং সেটির সামনে বোঝার চেষ্টা করে এটি আসলে কি জিনিস।  বিড়ালের আশেপাশে কোথাও কোন অস্বাভাবিক নড়াচড়া বা শব্দ শুনলেই বিড়াল সতর্ক হয়ে যায়।  এটাও তার কৌতুহলী আচরণারি প্রকাশ। 

বিড়াল নিজের এলাকা সহজে চিনতে পারে 

সাধারণত বলা হয় কুকুর তার এলাকায় অন্য কোন কুকুরকে আসতে দেয় না।  বিড়ালেরও এই ধরনের কিছুটা আচরণ রয়েছে যদিও বিড়াল অতটা আগ্রাসী নয়।  বিড়াল নিজ এলাকাকে চিনে রাখে শুধুমাত্র নিজের যাতায়াতকে নিয়ন্ত্রণে রাখতেই।  নিজের এলাকায় এবং পরিচিত মানুষ সম্পর্কে বিড়াল খুবই সচেতন। 

বিড়াল অনেকটা স্বার্থপর 

কুকুরের সবচেয়ে বড় গুণ হচ্ছে এটি প্রভুভক্ত।  যেকোন বিপদে কুকুর তার প্রভুকে কখনো ফেলে যায় না।  কিন্তু বিড়ালের মধ্যে এই গুণটার অভাব লক্ষ্য করা যায়।  নিজের পছন্দমত পরিবেশ না পেলে যে কোন সময় বিড়াল তার মনিবকে ছেড়ে যেতে পারে।  বিড়ালের তার মনিবের প্রতি খাবার ছাড়া অন্য কোন ব্যাপারে খুব বেশি আগ্রহ থাকে না। 

এগুলোই প্রধানত বিড়াল সম্পর্কে প্রধান বিষয়গুলো বলা যায়।  এই বৈশিষ্ট্যগুলো আপনি সকল ধরনের বিড়ালের মধ্যেই দেখতে পাবেন।  বিড়ালের অন্যান্য প্রজাতি যেমন বাঘ, বন বিড়াল এদের মধ্যেও এই গুণ গুলো রয়েছে। 

শেষ কথা

বিড়ালের বৈশিষ্ট্য গুলো সম্পর্কে জেনে আপনি এই প্রাণীটি সম্পর্কে পুরোপুরি একটি ধারণা করতে পারবেন।  আপনি যদি বিড়াল পুষে থাকেন তাহলে আপনার একটা ব্যাপার জেনে রাখা ভালো,  বিড়াল যখন বিরক্ত হয় তখন তার অনেক পুরনো বন্ধু কেউ সে আঘাত করে ফেলতে পারে। আর এজন্যই বিড়ালকে স্বার্থপর প্রাণী বলা হয়। এটিও বিড়ালের বড় বৈশিষ্ট্য। এজন্যই একদম ছোট বাচ্চাদেরকে বিড়াল থেকে একটু দূরে রাখা ভালো। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *