পরমাণু কাকে বলে

পরমাণু কাকে বলে? কে এর আবিষ্কার করেন?

পরমাণু হলো মৌলিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা, যার মধ্যে মৌলের সমস্ত গুণাগুণ উপস্থিত। এটি রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে এবং কঠিন, তরল, গ্যাস এবং আয়নের গঠনে মূল ভূমিকা পুরস্কার করে।

পরমাণু কাকে বলে

অণু ও পরমাণু কাকে বলে উদাহরণ দাও?

অণু ও পরমাণু দুইটি শব্দ যারা পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণার সাথে সম্পর্কিত। তবে, তাদের মধ্যে কিছু প্রধান পার্থক্য রয়েছে।

পরমাণু হলো একটি মৌলের ক্ষুদ্রতম কণা, যার মধ্যে মৌলের সমস্ত গুণাগুণ উপস্থিত। পরমাণু রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে। উদাহরণস্বরূপ, হাইড্রোজেন পরমাণু, কার্বন পরমাণু ইত্যাদি।

আরও পড়ুনঃ ইলেকট্রন আসক্তি কাকে বলে?

অণু অবশ্য একটি বা একাধিক পরমাণুর সংমিশ্রণ থেকে গঠিত। এটি রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে না, কিন্তু ভৌতিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে। উদাহরণস্বরূপ, হাইড্রোজেন মৌলের অণু হলো H2, অক্সিজেন মৌলের অণু হলো O2।

পরমাণু গঠনে প্রোটন, নিউট্রন, এবং ইলেকট্রন থাকে, যদি আমরা এটি কোয়ার্ক পর্যায়ে না নেই। অণু গঠনে এক বা একাধিক প্রকার পরমাণু থাকে, যা কোণ বন্ধনের মাধ্যমে জড়িত থাকে।

সম্পূর্ণভাবে বলতে, পরমাণু একটি মৌলের ক্ষুদ্রতম কণা, যার মধ্যে মৌলের গুণাগুণ উপস্থিত, এবং অণু হলো এক বা একাধিক পরমাণুর সংমিশ্রণ।

পরমাণু কে আবিষ্কার করেন? 

পরমাণুর ধারণা প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক দেমোক্রিটাস (Democritus) দ্বারা প্রথম প্রস্তাবিত হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, যদি আমরা একটি পদার্থকে অবিরাম ভাগ করি, তাহলে শেষে একটি অবিভাজ্য কণা পেতে হবে, যাকে তিনি “আটমোস” বলেছিলেন। এই ধারণাটি পরবর্তীতে বিজ্ঞানে গভীর প্রভাব ফেলেছে। জন ডালটন এই ধারণাকে আরও বিস্তারিত করেছেন এবং পরমাণুর তাত্ত্বিক মডেল তৈরি করেছেন।

আরও পড়ুনঃ আইসোটোপ কাকে বলে?

পরমাণুর ক্ষুদ্রতম কণা কি?

পরমাণুর ক্ষুদ্রতম কণা হলো কোয়ার্ক (Quark) এবং লিপটন (Lepton)। কোয়ার্ক হলো প্রোটন এবং নিউট্রনের গঠনকারী কণা, যা স্ট্রংগ নিউক্লিয়ার ফোর্স দ্বারা জড়িত থাকে। লিপটন, যেমন ইলেকট্রন, হলো আরও ক্ষুদ্র কণা যা নিউক্লিয়ার কেন্দ্রের বাইরে ঘোরে। এই কণাগুলি পরমাণুর সবচেয়ে ক্ষুদ্র গঠনকারী কণা বলে গণ্য হয় এবং তারা পরমাণুর সব ধরমের বৈশিষ্ট্য নিয়ে আসে।

পরিশেষে

পরমাণু সংশ্লেষণ বা বিভিন্ন পরমাণুর গঠন মাধ্যমে প্রকৃতির আপেক্ষিকতা বোঝানো হয়েছে। পরমাণুর গুণাগুণ ও ক্ষুদ্রতম কণা কোয়ার্ক এবং লিপটনের আবিষ্কার মাধ্যমে নতুন পর্যায়ে পরমাণুর পর্যায়ের গবেষণা বাড়িয়েছে। পরমাণু বোমা তৈরি এবং তার ব্যবহারের পরিণামে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মানবিক পরিবর্তন আনে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *