তড়িৎ ঋণাত্মকতা কাকে বলে

তড়িৎ ঋণাত্মকতা কাকে বলে?

তড়িৎ ঋণাত্মকতা হলো একটি পরমাণুর ক্ষমতা যা শেয়ারকৃত ইলেকট্রনগুলি নিজের দিকে আকর্ষণ করে। এটি পারমাণবিক সংখ্যা, ইলেকট্রনের দুরত্ব ইত্যাদির উপর নির্ভর করে।

তড়িৎ ঋণাত্মকতা কাকে বলে

তড়িৎ ঋণাত্মকতা কাকে বলে?

তড়িৎ ঋণাত্মকতা হলো একটি পরমাণুর ক্ষমতা যা শেয়ারকৃত ইলেকট্রনগুলি নিজের দিকে আকর্ষণ করে। এটি প্রতিস্থানিক বা কো-ভ্যালেন্ট বন্ধনের মধ্যে দেখা যায়। তড়িৎ ঋণাত্মকতা পারমাণবিক সংখ্যা, কেন্দ্র থেকে যোজন ইলেকট্রনের দুরত্ব, এবং পরমাণুর আকার ও কাঠামোর উপর নির্ভর করে।

আরও জানুনঃ ঘনত্ব কাকে বলে?

উচ্চ তড়িৎ ঋণাত্মকতা থাকলে, পরমাণুটি ইলেকট্রন আরও ভালোভাবে আকর্ষণ করতে পারে এবং বন্ধন তৈরির ক্ষমতা বেড়ে যায়। এর ফলে, যে পরমাণুর তড়িৎ ঋণাত্মকতা বেশি, তা বন্ধনে আরও প্রভাবশালী হয়।

তড়িৎ ঋণাত্মকতা মূলত পারমাণবিক সংখ্যা এবং ইলেকট্রনের দুরত্বের উপর নির্ভর করে। পারমাণবিক সংখ্যা বেশি হলে, তড়িৎ ঋণাত্মকতা ও বেশি হয়। এটি রাসায়নিক বিক্রিয়া, বন্ধনের ধরণ, এবং পদার্থের বৈশিষ্ট্য নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

তড়িৎ ঋণাত্মকতা কাকে বলে

তড়িৎ ঋণাত্মকতার মান বের করার নিয়ম কি?

তড়িৎ ঋণাত্মকতার মান বের করার জন্য মৌলিকভাবে পলিং স্কেল বা মুল্লিকেন-জেনস স্কেল ব্যবহার করা হয়। এই স্কেলে হাইড্রোজেন এবং ফ্লোরিনের তড়িৎ ঋণাত্মকতা হলো ২.১ এবং ৩.৯

আরও জানুনঃ এসিড কাকে বলে?

  • প্রথমে, প্রয়োজনীয় পরমাণুর তড়িৎ ঋণাত্মকতা মান খুঁজে পেতে পলিং স্কেল বা মুল্লিকেন-জেনস স্কেল দেখা যাক।
  • দ্বিতীয়ভাবে, যদি একটি মৌলিক যৌগ হয়, তাদের মধ্যে বিভিন্ন পরমাণুর তড়িৎ ঋণাত্মকতা মান বিবেচনা করা হয়।
  • তৃতীয়ভাবে, এই মানগুলির মধ্যে পার্থক্য নেওয়া হয়। পার্থক্য বেশি হলে, বন্ধন পোলার হবে। পার্থক্য কম হলে, বন্ধন অপোলার হবে।

এই প্রক্রিয়া মৌলিক যৌগের বৈশিষ্ট্য এবং প্রতিক্রিয়া ক্ষমতা বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে, এটি একটি সাধারণ প্রক্রিয়া এবং অনেক ক্ষেত্রে অধিক জটিল।

অক্সিজেনের তড়িৎ ঋণাত্মকতার মান?

অক্সিজেনের তড়িৎ ঋণাত্মকতার মান পলিং স্কেল অনুসারে ৩.৪৪ হয়। এই মান অক্সিজেনের ইলেকট্রন আকর্ষণের ক্ষমতা প্রকাশ করে। উচ্চ তড়িৎ ঋণাত্মকতা মানের কারণে, অক্সিজেন প্রায়ই পোলার কো-ভ্যালেন্ট বন্ধন তৈরি করে। এটি অক্সিজেনের রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য এবং প্রতিক্রিয়াশীলতা বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

আরও জানুনঃ সমযোজী বন্ধন কাকে বলে?

C এর তড়িৎ ঋণাত্মকতার মান কত?

CCl4 (কার্বন টেট্রাক্লোরাইড) অপোলার হওয়ার কারণ তার জিয়োমেট্রিক কাঠামো। এটি একটি টেট্রাহেড্রাল কাঠামো ধরে, যেখানে কার্বন পরমাণু কেন্দ্রে অবস্থান করে এবং চারটি ক্লোরিন পরমাণু তার চারটি কোণে অবস্থান করে। এই কাঠামোর কারণে, ক্লোরিন পরমাণুর তড়িৎ ঋণাত্মকতা দ্বারা উত্পন্ন ডিপোল মোমেন্টগুলি বাতিল হয়ে যায়।

তাই, যদিও C ও Cl পরমাণুর তড়িৎ ঋণাত্মকতার মানের পার্থক্য 0.5-1.9 এর মধ্যে হয়, জিয়োমেট্রিক কাঠামোর কারণে এটি অপোলার হয়। এই কাঠামো ডিপোল মোমেন্টগুলি বাতিল করে, তাই CCl4 অপোলার হয়।

সারমর্ম

তড়িৎ ঋণাত্মকতা হলো পরমাণুর ইলেকট্রনের আকর্ষণের ক্ষমতা, এটি পরমাণবিক সংখ্যা এবং ইলেকট্রনের দুরত্বের উপর নির্ভর করে। এটি বন্ধনের প্রকার এবং রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ। উচ্চ তড়িৎ ঋণাত্মকতা সংখ্যা স্থায়ী বন্ধন তৈরি করতে সাহায্য করে।

অক্সিজেনের তড়িৎ ঋণাত্মকতা ৩.৪৪, এটির উচ্চ মান অক্সিজেন দ্বারা পোলার কো-ভ্যালেন্ট বন্ধনে প্রভাব ফেলে। CCl4 এর তড়িৎ ঋণাত্মকতা পরমাণুর জিয়োমেট্রিক কাঠামো বাতিল করে, এটি পোলার নয়।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *