গুণনীয়ককাকে-বলে

গুণনীয়ক কাকে বলে? গুননীয়ক এর বৈশিষ্ট্য সমূহ

গুণনীয়ক হলো গণিতের একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয় অংশ। গণিত কে ভালোভাবে বুঝতে এবং জানতে হলে আমাদের অবশ্যই এই গুণনীয় সম্বন্ধে পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে। কোন সংখ্যার গুণনীয়ক বলতে বোঝায় কোন সংখ্যা কে, যে সংখ্যা দ্বারা নির্বিশেষে ভাগ করা যায় সেগুলোই ওই সংখ্যার গুণনীয়ক। গুণনীয়ক সম্পর্কে আরো বিস্তারিত আমরা এই আর্টিকেলে বা এই লেখার মাধ্যমে আলোচনা করব। গুননীয়ক সম্বন্ধে আরো পরিষ্কারভাবে বিস্তারিত জানতে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ুন।

 গুননীয়ক কাকে বলে?

 গণিত শাস্ত্রের এবং আমাদের শিক্ষাজীবনের সহ আমাদের দৈনিক জীবনের জন্য এই গুণনীয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। আমাদের জীবনে এবং শিক্ষা জীবনের জন্য যেহেতু এই গুণিতক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই এ সম্পর্কে আমাদের পরিষ্কার ধারণা রাখা উচিত।

গুননীয়ক হলো কোনো সংখ্যাকে এক এবং ওই সংখ্যা ছাড়াও অন্য যে যে সংখ্যা দ্বারা ভাগ করা যায় সেই সকল সংখ্যাকেই ওই সংখ্যার গুননীয়ক বলা হয়। এক্ষেত্রে অবশ্যই ভাগ নির্বিশেষে করতে হবে  অর্থাৎ ভাগের শেষে কোন ভাগশেষ থাকবে না। গুণনীয়ককে উৎপাদক নামেও ডাকা হয়ে থাকে। 

এক কথায় বলতে গেলে বলা যায়,যে সকল সংখ্যা দ্বারা কোনো সংখ্যা কে ভাগ করলে কোন ভাগশেষ থাকে না সেগুলোকে ওই সংখ্যার গুণনীয়ক বলা হয়ে থাকে।যেমন দশের গুণনীয়ক  হল ১,২,৫,১০।

আরও সহজ ভাবে বলতে গেলে কোন সংখ্যাকে যে যে সংখ্যা দ্বারা নির্বিশেষে ভাগ করা যায় তাই হলো ওই সংখ্যার গুণনীয়ক বা উৎপাদক।

গুননীয়ক এর বৈশিষ্ট্য সমূহ

 গুণিতক এর মতোই গুণনীয়কেরও কিছু সাধারণ এবং মৌলিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে এই বৈশিষ্ট্যগুলো নিচে পয়েন্ট আকারে দেওয়া হলোঃ

  • গুণনীয়ক অসীম নয় এটি অসীম হয়ে থাকে। অর্থাৎ গুণনীয়কের মান বা সংখ্যা সীমিত থাকে।
  •  গুণনীয়কের ক্ষুদ্রতম সংখ্যাটি হলো এক।
  •  বৃহত্তম সংখ্যাটি হল যে সংখ্যার গুণন নির্ণয় করব ওই সংখ্যা নিজেই।
  •  সকল জোর সংখ্যার ক্ষেত্রে গুননীয়ক গুলো হল ১,২  ও ওই সংখ্যাটি। 
  • গুণনীয়ক সাধারণত গসাগু নির্ণয় এর ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
  •  গুণনীয়ক নির্ণয় করা তুলনামূলকভাবে গুণিতক এর চেয়ে একটু কঠিন হয়ে থাকে। 
  • গুণনীয়ক নির্ণয় করতে হলে ভাগ ভালোভাবে জানতে এবং শিখতে হয়। একই সাথে নামটাও ভালোভাবে জানতে হয়।

 গরিষ্ঠ সাধারণ গুণনীয়ক  কাকে বলে?

আমরা জানি গরিষ্ঠ অর্থাৎ বড় বা বেশি এবং সাধারণ অর্থ একের অধিক কোন বস্তুর মধ্যে যেগুলো মিল থাকে সেগুলোকে সাধারণ বলা হয়ে থাকে। দুই বা ততোধিক সংখ্যার মধ্যে বৃহত্তম যে সংখ্যাটি মিল থাকে সেই সংখ্যাটিকেই গরিষ্ঠ সাধারণ গুণনীয়ক বা গসাগু বলা হয়ে থাকে।

অর্থাৎ গুণনীয়কের বৃহত্তম সংখ্যাকে যদি কোন সংখ্যা দ্বারা ভাগ করা হয়ে থাকে তাহলে এ ভাগ করার পর কোন ভাগশেষ  যদি না থাকে তাহলে তাকে গরিষ্ঠ সাধারণ গুণনীয়ক বা গসাগু বলা হয়ে ওঠে।

গরিষ্ঠ সাধারণ গুণনীয়ক বা গসাগু আমাদের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় কারণ আমাদের  দৈনন্দিন জীবনের অনেক কাজকর্মের এবং হিসাব-নিকাশের  করার জন্য এটি প্রয়োজন হয়ে থাকে । এছাড়াও স্কুল কলেজ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিসেবে-নিকাশের জন্য এটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

গসাগু বা গরিষ্ঠ সাধারণ গুণাঙ্কের একটি উদাহরণ হল ৪৮ ও ৭২ এর গসাগু হলো ২৪।

শেষ কথা

 যেহেতু আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন কাজ কর্ম এবং হিসাব-নিকাশের জন্য এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের লেখাপড়ার ক্ষেত্রে এই গুননীয়ক অর্থাৎ গসাগু অনেক প্রয়োজন হয়ে থাকে।তাই আমাদের এটি জানা অত্যাবশ্যকীয় এবং এটি সম্বন্ধে পরিষ্কার ধারণা থাকা অবশ্যক।

 আর ওপরে লেখাগুলোর দ্বারা এই ধারণাটি একদম পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে। তাই আপনাদের উচিত উপরের লেখাটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়া এবং তা বোঝার চেষ্টা করা। আপনি যদি উপরের লেখা সম্পূর্ণ মনোযোগ  সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ। 

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *