উদ্ভিদ কাকে বলে

উদ্ভিদ কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি

উদ্ভিদ মাটির মধ্যে জন্মে, এক স্থানে থাকে। চলাফেরা করতে পারে না। সালোকসংশ্লেষন দ্বারা খাদ্য তৈরি করে। জীবজগতে দুই প্রধান শ্রেণী: উদ্ভিদ ও প্রাণী।

উদ্ভিদ কাকে বলে

উদ্ভিদ কাকে বলে? 

উদ্ভিদ বলতে বোঝায় ঐ প্রাণীগুলি যেগুলি মাটি ভেদ করে উপরে উঠে, কিন্তু এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলাফেরা করতে পারে না। এগুলি সালোকসংশ্লেষনের মাধ্যমে শর্করা-জাতীয় খাদ্য তৈরি করে।

আরও জানুনঃ নিউক্লিয়াস কাকে বলে?

উদ্ভিদের বিভিন্ন প্রকার

  1. বৃক্ষ: উচ্চ ও দীর্ঘজীবী। মিষ্টি, লিচু, আম এই ধরনের।
  2. গুল্ম: ছোট ও প্রসারণশীল। টমেটো, আলু এই ধরনের।
  3. লতা: অন্য উদ্ভিদের উপর বেড়ে ওঠে। কুমড়া, লাউ এই ধরনের।
  4. গ্রাস: ছোট ও পাতলা। ধান, গম এই ধরনের।
  5. ফার্ন: প্রাচীন ও জলস্থলীয়।
  6. মস: সবচেয়ে ছোট, জলস্থলীয় এলাকায় থাকে।

উদ্ভিদের কাজ

  1. সালোকসংশ্লেষন দ্বারা খাদ্য তৈরি করা।
  2. জল ও নাইট্রোজেন চক্রে অবদান।
  3. বাতাসে অক্সিজেন সরবরাহ।

উদ্ভিদ ও প্রাণী জীবজগতের দুই প্রধান শ্রেণী। উদ্ভিদ প্রকৃতির ব্যাল্যান্স বজায় রাখে এবং জীবনের জন্য অমূল্য।

উদ্ভিদ কাকে বলে

পৃথিবীতে প্রথম উদ্ভিদ কোনটি?

পৃথিবীতে প্রথম উদ্ভিদ হিসেবে বিবেচনা করা হয় কয়েক কোষী শেওলা, যা প্রায় ১০০ কোটি বছর আগে আবির্ভূত হয়েছিল। এই শেওলা থেকে বৃহত্তর উদ্ভিদজগতের উৎপত্তি ঘটেছে। এই প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ তৈরি হয়েছে, যেমন বৃক্ষ, গুল্ম, লতা, ফার্ন, মস ইত্যাদি।

আরও জানুনঃ ব্যাপন কাকে বলে?

এছাড়া, সব উদ্ভিদ বা গাছে ফুল ফোটে না। যেগুলি ফুল ফোটে, তাদেরকে সপুষ্পক উদ্ভিদ বা ফুল ফোটানোর গাছ বলা হয়।

প্রথম উদ্ভিদের আবির্ভাব প্রকৃতির জীববৈবিদ্যে একটি বিপুল পরিবর্তন এনেছে। এগুলি জীবজগতের ব্যাল্যান্স বজায় রেখেছে এবং জীবনের জন্য অমূল্য।

উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য?

উদ্ভিদ জীবজগতের একটি গুরুত্বপূর্ণ শ্রেণী। তাদের কিছু প্রধান বৈশিষ্ট্য নিম্নলিখিত:

আরও জানুনঃ আলোর প্রতিফলন কাকে বলে?

  • স্থিরতা: উদ্ভিদ এক স্থানে থাকে, চলাফেরা করতে পারে না।
  • সালোকসংশ্লেষণ: আলো ও জলের সাহায্যে খাদ্য তৈরি করে।
  • বীজ তৈরি: বীজ দ্বারা প্রজনন করে এবং নতুন উদ্ভিদ জন্মায়।
  • বৈদ্যুতিক সংকেত: প্রয়োজনে বৈদ্যুতিক সংকেত প্রেরণ করে।
  • পোষণ: মূল দ্বারা জল ও খনিজ অংশ শোষণ করে।
  • প্রাণী-উদ্ভিদ সম্পর্ক: প্রাণীরা উদ্ভিদের খাদ্য, অস্থান এবং অন্যান্য সুবিধা পেয়ে থাকে।
  • বায়োমাস তৈরি: অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড শোষণ করে।
  • বৈবিদ্য: বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ রয়েছে – বৃক্ষ, গুল্ম, লতা, গ্রাস, ফার্ন, মস ইত্যাদি।
  • জীববৈবিদ্য: উদ্ভিদ জীববৈবিদ্যের বৃদ্ধি করে এবং জীবজগতের ব্যাল্যান্স বজায় রাখে।
  • পরিবেশ সংরক্ষণ: উদ্ভিদ জল সংরক্ষণ, মৃদা সংরক্ষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিরোধ করে।
  • ঔষধি: বিভিন্ন ধরনের ঔষধি তৈরির জন্য উদ্ভিদ ব্যবহৃত হয়।
  • সৌন্দর্য: উদ্ভিদ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।

উদ্ভিদের এই বৈশিষ্ট্যগুলি তাদের জীবজগতে এবং মানব জীবনে অমূল্য করে তোলে। তারা প্রকৃতির একটি অমিল অংশ এবং জীবের জন্য অপরিসীম গুরুত্বপূর্ণ।

সংক্ষেপ

উদ্ভিদ মাটির মধ্যে জন্মে, সালোকসংশ্লেষনের মাধ্যমে খাদ্য তৈরি করে, বীজ দ্বারা প্রজনন করে, পরিবেশ সংরক্ষণে ভূমিকা পালন করে, এবং বৃদ্ধি করে বিভিন্ন প্রকৃতির উদ্ভিদ জীবজগতের অমূল্য অংশ। উদ্ভিদ জীবজগতের ব্যাল্যান্স বজায় রেখে এবং প্রকৃতি ও মানব জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *