ইলেকট্রন আসক্তি কাকে বলে

ইলেকট্রন আসক্তি কাকে বলে?

ইলেকট্রন আসক্তি হলো একটি মৌলের পরমাণু থেকে এক মোল ইলেকট্রন বিমুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি। এটি মৌলের ইলেকট্রন গ্রহণ করার ক্ষমতা নির্ধারণ করে। পারমাণবিক ব্যাসার্ধ কমলে, ইলেকট্রন আসক্তি বাড়ে।

ইলেকট্রন আসক্তি কাকে বলে

ইলেকট্রন আসক্তি কাকে বলে?

ইলেকট্রন আসক্তি হলো একটি মৌলের পরমাণু থেকে এক মোল ইলেকট্রন বিমুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তির পরিমাণ। এটি মৌলের ইলেকট্রন গ্রহণ করার ক্ষমতা নির্ধারণ করে। এটি মৌলের পারমাণবিক ধর্ম, ব্যাসার্ধ এবং ইলেকট্রন কনফিগারেশনের উপর নির্ভর করে। পারমাণবিক ব্যাসার্ধ কমলে, ইলেকট্রন আসক্তি বাড়ে।

আরও পড়ুনঃ যোজনী কাকে বলে?

এটি গ্যাসীয় অবস্থায় বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়, কারণ এখানে পরমাণুরা বিচ্ছিন্ন থাকে। এটি মৌলের রাসায়নিক প্রক্রিয়াগুলিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পুরস্কার করে। এটি মৌলের রাসায়নিক স্থিতিশীলতা, বন্ধনের ধরণ এবং বন্ধনের শক্তি নির্ধারণে সহায়ক। 

ইলেকট্রন আসক্তি কাকে বলে

কোন মৌলের ইলেকট্রন আসক্তি সবচেয়ে বেশি?

হেলিয়াম (He) মৌলের ইলেকট্রন আসক্তি সবচেয়ে বেশি। এটি প্রথম পর্যায়ের একটি নোবেল গ্যাস এবং এর পারমাণবিক ব্যাসার্ধ খুব কম। হেলিয়ামের ইলেকট্রন আসক্তি বেশি হওয়ার কারণে এটি অন্যান্য মৌলের সাথে সহজে বন্ধন গঠন করে না। এটি একটি নির্জীব গ্যাস এবং প্রায়শই একক পরমাণু হিসেবে থাকে। এর ইলেকট্রন আসক্তি এতটুকু বেশি যে, এটি প্রায়ই কোনো রাসায়নিক প্রক্রিয়াতে অংশ নেয় না।

আরও পড়ুনঃ আইসোটোপ কাকে বলে?

N ও O এর মধ্যে কোনটির ইলেকট্রন আসক্তি বেশি?

নাইট্রোজেন (N) এবং অক্সিজেন (O) উভয়ই পাঁচম পর্যায়ের মৌল, কিন্তু তাদের মধ্যে অক্সিজেনের ইলেকট্রন আসক্তি বেশি। এর কারণ হলো অক্সিজেনের পারমাণবিক সংখ্যা বেশি (O=16, N=14) এবং এর পারমাণবিক ব্যাসার্ধ কম। 

এই দুটি কারণে অক্সিজেনের নিউক্লিয়াসের ও ইলেকট্রনের মধ্যে আকর্ষণ বেশি হয়, যা ইলেকট্রন আসক্তি বাড়ায়। এর ফলে, অক্সিজেন অন্যান্য মৌলের সাথে বেশি সহজে বন্ধন গঠন করে এবং রাসায়নিক প্রক্রিয়াতে বেশি সক্রিয়।

২য় ইলেকট্রন আসক্তি কাকে বলে? 

২য় ইলেকট্রন আসক্তি বলতে একটি নিউট্রাল মৌলের প্রথম ইলেকট্রন নেওয়ার পর, তার দ্বিতীয় ইলেকট্রন নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তির পরিমাণকে বোঝানো হয়। 

আরও পড়ুনঃ ত্বরণ কাকে বলে?

এটি সাধারণত প্রথম ইলেকট্রন আসক্তির চেয়ে বেশি হয়, কারণ একবার প্রথম ইলেকট্রন নেওয়ার পর মৌলটি ঋণাত্মক আয়ন হয়ে যায় এবং তার পরের ইলেকট্রনটি নেওয়ার জন্য আরও বেশি শক্তি প্রয়োজন। এই শক্তির পরিমাণ মৌলের পারমাণবিক গঠন এবং ইলেকট্রন বিন্যাসের উপর নির্ভর করে।

উপসংহার

সংক্ষেপে বলা যাক, ইলেকট্রন আসক্তি হলো মৌলের পরমাণু থেকে ইলেকট্রন বিমুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তির পরিমাণ। এটি মৌলের ইলেকট্রন গ্রহণ করার ক্ষমতা নির্ধারণ করে এবং মৌলের রাসায়নিক প্রক্রিয়া, বন্ধনের ধরণ এবং বন্ধনের শক্তি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পুরস্কার করে। 

ইলেকট্রন আসক্তি মৌলের পারমাণবিক ধর্ম এবং ব্যাসার্ধের উপর নির্ভর করে এবং বিভিন্ন মৌলে বিভিন্ন উপস্থিতি পায়।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *