আলোর প্রতিসরণ কাকে বলে? এর কারণ কি?
আলোর প্রতিসরণ হলো আলোক রশ্মির পথ পরিবর্তন, যখন এটি এক মাধ্যম থেকে অন্য মাধ্যমে যায়। এটি সবচেয়ে বেশি দেখা যায় স্বচ্ছ মাধ্যমের বিভদতলে। এর ফলে আলোর দিক পরিবর্তন হয়।
![আলোর প্রতিসরণ কাকে বলে](https://bengaltalks.com/wp-content/uploads/2023/11/আলোর-প্রতিসরণ-কাকে-বলে-1024x576.jpg)
Table of Contents
আলোর প্রতিসরণ কাকে বলে?
আলোর প্রতিসরণ বলতে আলোক রশ্মির পথ পরিবর্তনের ঘটনাকে বোঝানো হয়। যখন একটি আলোক রশ্মি এক মাধ্যম থেকে অন্য মাধ্যমে প্রবেশ করে, তার দিক পরিবর্তন হতে পারে। এটি সাধারণত দেখা যায় যখন আলো একটি স্বচ্ছ মাধ্যম থেকে অন্য স্বচ্ছ মাধ্যমে প্রবেশ করে। এই প্রক্রিয়াটি ভৌত ধর্ম, মাধ্যমের প্রকৃতি, এবং আলোর গতির উপর নির্ভর করে।
আরও পড়ুনঃ গতি কাকে বলে
প্রতিসরণ শব্দ তরঙ্গ বিজ্ঞানে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়, কিন্তু আমরা সবচেয়ে বেশি আলোর প্রতিসরণের সাথে পরিচিত। এটি প্রয়োজনীয় হয় লেন্স, প্রিজম, এবং অন্যান্য আলোক যন্ত্রের কাজে। প্রতিসরণের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন রঙের আলো পৃথক করতে পারি, যা রঙের স্পেক্ট্রাম তৈরি করে। এটি আমাদের জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়।
আলোর প্রতিসরণের কারণ কি?
- আলোর প্রতিসরণের প্রধান কারণ হল মাধ্যমের ভিন্ন ভিন্ন গতি এবং তার ভৌত ধর্ম। যখন একটি আলোক রশ্মি এক মাধ্যম থেকে অন্য মাধ্যমে প্রবেশ করে, তার গতি পরিবর্তন হতে পারে। এই গতির পরিবর্তন হল প্রতিসরণের মৌলিক কারণ।
- প্রতিসরণের আরেকটি কারণ হল মাধ্যমের ভৌত ধর্ম, যেমন তার ভরবিভরণ কোয়েফিশিয়েন্ট বা ভ্রান্তি কোয়েফিশিয়েন্ট। এই ধর্মগুলি মাধ্যমের গতি এবং আলোর প্রতিসরণের দিক নির্ধারণ করে।
- আলোর প্রতিসরণ ঘটতে পারে যদি মাধ্যমের ভিতরে কোনো অসমতা থাকে। এটি হতে পারে জলের সম্পর্কে, যেখানে জলের ভিতরের ভিন্ন ভিন্ন অংশে ভিন্ন ভিন্ন গতি থাকে।
- আলোর প্রতিসরণ তবে শুধু মাধ্যমের গতি বা ধর্মের উপর নির্ভর করে না, এটি আলোক রশ্মির প্রবেশ কোণ এবং প্রতিস্থান কোণের উপরও নির্ভর করে। এই কারণে, আলোর প্রতিসরণ একটি জটিল এবং মৌলিক প্রক্রিয়া যা বিভিন্ন কারণের সংমিশ্রণে ঘটে।
আরও পড়ুনঃ আইসোটোপ কাকে বলে?
আলোর প্রতিসরণ সূত্র
আলোর প্রতিসরণ বা রিফ্লেকশন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। আলোর প্রতিসরণের জন্য প্রয়োজনীয় সূত্র হল স্নেলের সূত্র, n1sinθ1=n2sinθ2n1sinθ1=n2sinθ2।
এটি ঘটে যখন আলো একটি সমতল বা পৃষ্ঠ থেকে ফিরে আসে। এর সূত্র হল, “আগমন কোণ সমান প্রতিসরণ কোণ”।
আরও পড়ুনঃ অভিস্রবণ কাকে বলে?
এটি মানে, আলো যে কোণে আসে, তার সমান কোণে ফিরে যায়। এটি অনেক প্রযুক্তিতে ব্যবহার হয়, যেমন প্রিজম, মিরর, লেন্স ইত্যাদি। এই প্রক্রিয়াটি প্রকৃতি ও প্রযুক্তির দুটির মধ্যে সংযোজন তৈরি করে। সূত্রটি সহজ, কিন্তু তার প্র্যোজনীয়তা বিশাল।
উপসংহার
এই নিবন্ধ থেকে আমরা জানতে পেরেছি আলোর প্রতিসরণ হলো আলোক রশ্মির পথ পরিবর্তন এবং এর কারণ হল মাধ্যমের গতি এবং ভৌত ধর্মের পরিবর্তন। প্রতিসরণের মৌলিক সূত্র স্নেলের সূত্র, যা আলোক রশ্মির আগমন কোণ এবং প্রতিসরণ কোণ নির্ধারণ করে। এই প্রক্রিয়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত এবং আমাদের জীবনের বিভিন্ন দিকে প্রয়োজনীয়।