আয়নিক বন্ধন কাকে বলে

আয়নিক বন্ধন কাকে বলে? আয়নিক বন্ধন গঠনের কারণ কি?

আয়নিক বন্ধন হলো ধাতু ও অধাতব মৌলের রাসায়নিক বিক্রিয়াকালে ধাতুর পরমানুর বহিঃস্তরে এক বা একাধিক ইলেকট্রন স্থানান্তরিত হওয়ার মাধ্যমে সৃষ্ট ধনাত্বক আয়ন ও ঋণাত্বক আয়নের মধ্যে স্থির বৈদ্যুতিক আকর্ষণ বল দ্বারা যে বন্ধন গঠিত হয়, তাকে আয়নিক বন্ধন বা তড়িৎ যোজী বন্ধন বলে।

আয়নিক বন্ধন কাকে বলে

আয়নিক বন্ধন কাকে বলে?

আয়নিক বন্ধন হলো ধাতু ও অধাতব মৌলের রাসায়নিক বিক্রিয়াকালে ধাতুর পরমানুর বহিঃস্তরে এক বা একাধিক ইলেকট্রন স্থানান্তরিত হওয়ার মাধ্যমে সৃষ্ট ধনাত্বক আয়ন ও ঋণাত্বক আয়নের মধ্যে স্থির বৈদ্যুতিক আকর্ষণ বল দ্বারা যে বন্ধন গঠিত হয়, তাকে আয়নিক বন্ধন বা তড়িৎ যোজী বন্ধন বলে।

আরও জানুনঃ সমযোজী বন্ধন কাকে বলে?

আয়নিক বন্ধনে, ধাতু মৌলের একটি বা একাধিক ইলেকট্রন হারায় এবং অধাতব মৌলের বহিঃস্তরে ইলেকট্রনগুলি অধিকাংশ নেই। ধাতু মৌল ইলেকট্রন হারানোর ফলে ধাতু মৌল একটি ধনাত্বক আয়ন হয়, আর অধাতব মৌল একটি ঋণাত্বক আয়ন হয়। এই আয়নিক আয়নের মধ্যে স্থির বৈদ্যুতিক আকর্ষণ বল উৎপন্ন হয়, যা আয়নিক বন্ধন সহ ধাতু ও অধাতব মৌলের মধ্যে দুর্বল ইলেকট্রন সংযোজন করে।

এই ধরণের বন্ধন বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থে দেখা যায়, এবং এটি পদার্থের বৈদ্যুতিক ও রাসায়নিক গুণমানের উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

আয়নিক বন্ধন কাকে বলে

আয়নিক বন্ধন গঠনের কারণ কি? 

আয়নিক বন্ধন গঠনের কারণ রাসায়নিক বিক্রিয়া এবং ইলেকট্রন স্থানান্তরণের ফলাফলে এমন অবস্থা তৈরি হয়, যেখানে ধাতু ও অধাতব মৌলের মধ্যে আয়ন আকর্ষণ বল অত্যন্ত শক্তিশালী হয়। এর কারণে ইলেকট্রন প্রাপ্ত স্তরে থাকতে অসম্ভব হয় এবং ধাতু ও অধাতব মৌলের মধ্যে বৈদ্যুতিক আকর্ষণ বল উৎপন্ন হয়।

আরও জানুনঃ ক্ষমতা কাকে বলে?

ধাতু মৌলের আবর্জনা শক্তির স্তরগুলি ইলেকট্রন স্থানান্তরণের সাথে সংযোজিত থাকে, তারপর ইলেকট্রনগুলি অধাতব মৌলের আবর্জনা শক্তির স্তরগুলি দেখাতে পারে না। ইলেকট্রন স্থানান্তরণের ফলে ধাতু মৌল একটি ধনাত্বক আয়ন হয়, যেখানে একটি বা একাধিক ইলেকট্রন হারিয়ে যায়, এবং অধাতব মৌল একটি ঋণাত্বক আয়ন হয়, যেখানে একটি বা একাধিক ইলেকট্রন আটক করে।

আয়নিক বন্ধনে এই আয়ন এবং ঋণাত্বক আয়ন মধ্যে অত্যন্ত শক্তিশালী বৈদ্যুতিক আকর্ষণ বল উৎপন্ন হয়, এবং তার ফলে বন্ধন খুব দৃঢ় হয়। এই শক্তি বন্ধন সংযোজন করে এবং রাসায়নিক বিক্রিয়া সম্পন্ন হয়, যা পদার্থের গুণমান এবং প্রতিক্রিয়া নির্ধারণ করে। এই ধরণের বন্ধন পদার্থের বৈদ্যুতিক ও রাসায়নিক গুণমানের বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

আয়নিক বন্ধন এর উদাহরণ

আয়নিক বন্ধনের উদাহরণ হলো না+ ও সূর্যমুখী বা পত্তনিয় আয়ন। এই বন্ধনে, ন্যূক্লিয়াস থেকে একটি ইলেকট্রন হারিয়ে যায় এবং ন্যূক্লিয়াস বহিঃস্তরে একটি আয়ন তৈরি করে যা পজিটিভ চার্জ ধারণ করে। না+ আয়ন অধাতব মৌলের সাথে এই আয়নের মধ্যে বৈদ্যুতিক আকর্ষণ বল তৈরি করে, যা এই দুটি আয়ন সাথে বেশ দৃঢ় বন্ধন গঠন করে।

আরও জানুনঃ পিট কাকে বলে?

আরেকটি উদাহরণ হলো ক্লোরিন গ্যাস (Cl₂) এবং সোডিয়াম (Na) মেটালের বন্ধন। ক্লোরিন একটি দ্বিআয়নিক মৌল এবং এটি নিউট্রন নেই, অতএব এটি একটি আয়ন হয় এবং এটি একটি ইলেকট্রন গ্রেফতার করে। সোডিয়াম মেটাল একটি পজিটিভ আয়ন হয়, যা একটি ইলেকট্রন হারিয়ে দেয়। এই দুটি আয়ন সাথে সংযোজিত থাকে এবং এই বন্ধন অধাতব মৌলের মধ্যে বৈদ্যুতিক আকর্ষণ বল উৎপন্ন করে, যা বন্ধনটি দৃঢ় ও দ্রুত করে।

এই উদাহরণগুলি আয়নিক বন্ধনের সাথে তার শক্তিশালী বৈদ্যুতিক আকর্ষণ বলে দেখাচ্ছে, যা আয়নগুলি সাথে স্থির বন্ধন গঠনে কাজ করে।

সারসংক্ষেপ

আয়নিক বন্ধন ধাতু ও অধাতব মৌলের মধ্যে একাধিক ইলেকট্রনের স্থানান্তরণের ফলে গঠিত হয়, যা সৃষ্ট ধনাত্বক আয়ন ও ঋণাত্বক আয়নের মধ্যে শক্তিশালী বৈদ্যুতিক আকর্ষণ বল দ্বারা চরম দৃঢ় হয়। এই বন্ধনটি পদার্থের বৈদ্যুতিক ও রাসায়নিক গুণমানের উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং রাসায়নিক বিক্রিয়া সহায়ক। আয়নিক বন্ধনের উদাহরণ উল্লেখযোগ্য, এবং এটি বৈদ্যুতিক আকর্ষণ বলে প্রকাশ করে যে এই বন্ধন খুব দৃঢ়।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *