আইসোটোপ কাকে বলে

আইসোটোপ কাকে বলে? আইসোটোপ কত প্রকার ও কি কি

আইসোটোপ হলো একই মৌলিক পদার্থের ভিন্ন পরমাণু, যাদের পারমাণবিক সংখ্যা একই কিন্তু নিউক্লিয়াসের নিউট্রনের সংখ্যা ভিন্ন। এদের রাসায়নিক ও ভৌত ধর্ম প্রায় সমান। দুই প্রকার: স্থায়ী ও অস্থায়ী।

আইসোটোপ কাকে বলে

আইসোটোপ কাকে বলে? 

আইসোটোপ হল একই মৌলিক পদার্থের পরমাণু যাদের প্রোটনের সংখ্যা একই, কিন্তু নিউট্রনের সংখ্যা ভিন্ন। এর মানে, এদের পারমাণবিক সংখ্যা একই কিন্তু ভর সংখ্যা ভিন্ন। এই ভিন্নতা নিউক্লিয়াসের ভিত্তিতে হয়। উদাহরণ স্বরূপ, হাইড্রোজেনের তিনটি আইসোটোপ রয়েছে – প্রোটিয়াম, ডিউটেরিয়াম, এবং ট্রিটিয়াম।

আরও পড়ুনঃ নিউক্লিয়াস কাকে বলে?

আইসোটোপের বৈশিষ্ট্যের মধ্যে তেজস্ক্রিয় এবং স্থিতিশীল আইসোটোপ রয়েছে। তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ রেডিওয়েক্টিভ এবং সময়ের সাথে ক্ষয় হয়। স্থিতিশীল আইসোটোপ কোনো রেডিওয়েক্টিভ ক্ষয় দেখায় না।

আইসোটোপের ব্যবহার প্রযুক্তিতে, মেডিসিনে, এবং বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে হয়। এটি মৌলিক পদার্থের বৈশিষ্ট্য বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

আইসোটোপ কত প্রকার ও কি কি

আইসোটোপ মূলত দুই প্রকারের হতে পারে: স্থিতিশীল আইসোটোপ এবং রেডিওয়েক্টিভ আইসোটোপ।

আরও পড়ুনঃ গতি কাকে বলে

  1. স্থিতিশীল আইসোটোপ: এই ধরণের আইসোটোপের নিউক্লিয়াস স্থিতিশীল থাকে। এর মানে, এটি কোনো রেডিওয়েক্টিভ ক্ষয় দেখায় না। উদাহরণ স্বরূপ, কার্বন-১২, অক্সিজেন-১৬ ইত্যাদি।
  2. রেডিওয়েক্টিভ আইসোটোপ: এই ধরণের আইসোটোপের নিউক্লিয়াস স্থিতিশীল নয়। এটি সময়ের সাথে ক্ষয় হয় এবং রেডিওয়েক্টিভ ক্ষয় দেখায়। উদাহরণ স্বরূপ, কার্বন-১৪, উরেনিয়াম-২৩৮ ইত্যাদি।

এই দুই প্রকারের আইসোটোপের ব্যবহার বিভিন্ন ক্ষেত্রে হয়। স্থিতিশীল আইসোটোপ প্রায়শই ভৌত গবেষণায় ব্যবহৃত হয়, যদিও রেডিওয়েক্টিভ আইসোটোপ মেডিসিন, প্রযুক্তি, এবং বিজ্ঞানের অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। এই দুই প্রকারের আইসোটোপের মধ্যে রাসায়নিক বৈশিষ্ট্যে অনেক সাদৃশ্য রয়েছে, কিন্তু ভৌত বৈশিষ্ট্যে তাদের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।

কার্বনের আইসোটোপ গুলো কি কি?

কার্বনের তিনটি প্রধান আইসোটোপ রয়েছে: কার্বন-১২ (C-12), কার্বন-১৩ (C-13), এবং কার্বন-১৪ (C-14)।

আরও পড়ুনঃ যোজনী কাকে বলে

  • কার্বন-১২: এটি সবচেয়ে সাধারণ এবং স্থিতিশীল আইসোটোপ। প্রাকৃতিক কার্বনের প্রায় ৯৮.৯% কার্বন-১২ থাকে। এটি মৌলিক পদার্থের মৌলিক ভরের নির্ধারণে ব্যবহৃত হয়।
  • কার্বন-১৩: এটি একটি স্থিতিশীল আইসোটোপ এবং প্রাকৃতিক কার্বনের প্রায় ১.১% থাকে। এটি মূলত আইসোটোপিক অনুপাতের গবেষণায় ব্যবহৃত হয়।
  • কার্বন-১৪: এটি একটি রেডিওয়েক্টিভ আইসোটোপ। এটি প্রাকৃতিক কার্বনে খুব কম পরিমাণে থাকে এবং রেডিওকার্বন ডেটিং প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত হয়।

এই তিনটি আইসোটোপের রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য প্রায় একই, কিন্তু তাদের ভৌত বৈশিষ্ট্যে পার্থক্য রয়েছে। এই আইসোটোপগুলির ব্যবহার বিভিন্ন ক্ষেত্রে, যেমন বিজ্ঞান, মেডিসিন, এবং প্রযুক্তিতে হয়।

সংক্ষেপ:

আইসোটোপ হলো মৌলিক পদার্থের একই প্রোটন সংখ্যা সাথে ভিন্ন নিউট্রন সংখ্যা ধারণ করা পরমাণু। এদের রাসায়নিক ও ভৌত ধর্ম প্রায় সমান, তবে তাদের নিউক্লিয়াসের নিউট্রন সংখ্যা ভিন্ন। স্থায়ী আইসোটোপ সময়ের সাথে ক্ষয় না দেখায়, কিন্তু রেডিওয়েক্টিভ আইসোটোপ তেজস্ক্রিয় এবং ক্ষয় দেখায়। 

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *