অভিকর্ষজ ত্বরণ কাকে বলে

অভিকর্ষজ ত্বরণ কাকে বলে? এর একক কি? 

অভিকর্ষজ ত্বরণ হলো পৃথিবীর অভিকর্ষণ বলের প্রভাবে একটি বস্তুর বেগের বৃদ্ধির হার। এটি নিউটনের ২য় সূত্র অনুযায়ী বল এবং ত্বরণের সম্পর্কে প্রতিস্থাপন করে।

অভিকর্ষজ ত্বরণ কাকে বলে

অভিকর্ষজ ত্বরণ কাকে বলে, অভিকর্ষজ ত্বরণ এর একক কি? 

অভিকর্ষজ ত্বরণ বলতে পৃথিবী বা অন্য কোনো আকর্ষণশীল বস্তুর অভিকর্ষণ বলের প্রভাবে একটি বস্তুর বেগের বৃদ্ধির হার বোঝানো হয়। এটি প্রায়শই মুক্ত পতনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। নিউটনের দ্বিতীয় সূত্র অনুযায়ী, বল এবং ত্বরণ সরাসরি সম্পর্কিত। পৃথিবীর ক্ষেত্রে, অভিকর্ষজ ত্বরণের মান প্রায় 9.81 মিটার প্রতি সেকেন্ড স্কেয়ার (m/s²)।

আরও জানুনঃ নিউক্লিয়াস কাকে বলে?

অভিকর্ষজ ত্বরণের একক হলো “মিটার প্রতি সেকেন্ড স্কেয়ার” (m/s²) সিস্টেম ইন্টারন্যাশনাল (SI) একক সিস্টেমে। এই একক ব্যবহার করে ত্বরণের মান প্রকাশ করা হয়। এটি বলের একক (নিউটন) এবং ভরের একক (কিলোগ্রাম) এর সম্পর্কের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়: 1 N = 1 kg·m/s²।

সম্পূর্ণভাবে বলা যাক, অভিকর্ষজ ত্বরণ একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা যা আমাদের জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে, যেমন প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং, এবং বিজ্ঞানে প্রয়োগ পেতে থাকে।

পৃথিবীর অভিকর্ষজ ত্বরণের মান কত?

পৃথিবীর অভিকর্ষজ ত্বরণের মান প্রায় 9.81 মিটার প্রতি সেকেন্ড স্কেয়ার (m/s²)। এই মান পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠে মুক্তভাবে পড়ন্ত বস্তুর বেগ বৃদ্ধির হার নির্দেশ করে। তবে, এই মান পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে কিছুটা পরিবর্তন পেতে পারে কারণ পৃথিবী একটি নিয়মিত গোলাকার নয়। তবে, 9.81 m/s² হলো গোলাকার পৃথিবীর জন্য গড় মান।

আরও জানুনঃ যোজনী কাকে বলে

অভিকর্ষজ ত্বরণের মাত্রা নির্ণয়

অভিকর্ষজ ত্বরণের মাত্রা নির্ধারণ করা হয় নিউটনের গুরুত্বাকর্ষণ সূত্র অনুযায়ী। সূত্রটি হলো: F=Gm1×m2/r। এখানে, F হলো আকর্ষণ বল, G হলো গুরুত্বাকর্ষণ ধ্রুবক, m1​ এবং m2​ হলো দুই বস্তুর ভর এবং r হলো তাদের মধ্যবর্তী দৈর্ঘ্য। অভিকর্ষজ ত্বরণ a হবে F/m অর্থাৎ, a=Gm1/r2। পৃথিবীর ক্ষেত্রে, এর মান প্রায় 9.81 m/s2। এই মাত্রা বস্তুর বেগ বৃদ্ধির হার নির্দেশ করে।

পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে অভিকর্ষজ ত্বরণ ভিন্ন হয় কেন?

পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে অভিকর্ষজ ত্বরণের ভিন্নতা প্রধানত তিনটি কারণে ঘটে।

আরও জানুনঃ শ্বসন কাকে বলে?

  • পৃথিবীর আকার: পৃথিবী পূর্ণাংশে গোলাকার নয়, বরং এটি একটি অবলাকার বা জিয়োইড। এর মানে, পৃথিবীর ব্যাসার্ধ ভিন্ন স্থানে ভিন্ন।
  • ভূ-গর্ভস্থ ধাতব সংকুলতা: পৃথিবীর ভিতরের ধাতব সংকুলতা স্থান অনুযায়ী পরিবর্তন করে। এটি অভিকর্ষজ ত্বরণে প্রভাব ফেলে।
  • উচ্চতা: পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে দৈর্ঘ্য বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে অভিকর্ষজ ত্বরণ কমে যায়। তাই, পাহাড়ি অঞ্চলে অভিকর্ষজ ত্বরণ সাধারণত কম হয়।

এই তিনটি কারণে মিলে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে অভিকর্ষজ ত্বরণ ভিন্ন হয়। এই ভিন্নতা বিভিন্ন জগত্তিক ও বৌদ্ধিক কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

সংক্ষেপণ: 

এই নিবন্ধে, আমরা শেখা যায় অভিকর্ষজ ত্বরণ কী এবং এর একক কি। এটি পৃথিবীর অভিকর্ষণ বলের প্রভাবে একটি বস্তুর বেগের বৃদ্ধির হার নির্ধারণ করে এবং এর একক হলো “মিটার প্রতি সেকেন্ড স্কয়ার” (m/s²)। এই মান পৃথিবীর অভিকর্ষণের মান প্রকাশ করে এবং পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে কেন ভিন্ন হয় তা নিয়ে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। অভিকর্ষজ ত্বরণ জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ এবং বৈজ্ঞানিক ধারণা।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *