পরিসংখ্যান কাকে বলে

পরিসংখ্যান কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি?

পরিসংখ্যান এক ধরনের গাণিতিক বিজ্ঞান যা উপাত্ত সংগ্রহ, বিশ্লেষণ, এবং প্রেজেন্টেশনের উপর নির্ভর। এটি বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান, এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।

পরিসংখ্যান কাকে বলে

পরিসংখ্যান কাকে বলে?

পরিসংখ্যান হল তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ, ইন্টারপ্রেটেশন এবং প্রেজেন্টেশনের এক বিজ্ঞান। এটি ডেটা থেকে সিদ্ধান্ত নেয় এবং ভবিষ্যদ ঘটনা প্রেডিক্ট করে। পরিসংখ্যান বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়, যেমন বিজ্ঞান, অর্থনীতি, সামাজিক বিজ্ঞান, মেডিকেল এবং আরও অনেক। 

এটি সমস্যা সমাধানে, নীতি তৈরিতে এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পরিসংখ্যান তথ্যের সঠিক ব্যাখ্যা এবং ব্যবহার নিশ্চিত করে।

পরিসংখ্যান এর জনক কে?

পরিসংখ্যানের জনক বলা হয় রোনাল্ড এ. ফিশারকে। তিনি একজন ব্রিটিশ পরিসংখ্যানবিদ এবং জেনেটিক্সের গবেষক ছিলেন। ফিশার তার কাজে প্রযোজনা এবং ব্যাখ্যানের জন্য পরিসংখ্যানীয় মেথডস ব্যবহার করেছেন। তার কাজ পরিসংখ্যান, জেনেটিক্স, এবং একোলজির বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলেছে। তিনি পরিসংখ্যানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ধারণা এবং মেথড উদ্ভাবন করেছেন।

পরিসংখ্যানের প্রকার:

  1. গড় (Mean): সব সংখ্যার যোগফল ভাগা হয় সংখ্যার সংখ্যা দ্বারা।
  2. মধ্যক (Median): সংখ্যা গুলি সাজানো হয় এবং মধ্যবর্তী সংখ্যা নেওয়া হয়।
  3. প্রচুরক (Mode): সবচেয়ে বেশি বার যে সংখ্যা আসে।
  4. আয়তলেখ (Histogram): ডেটা বিভাজনের গ্রাফিক্যাল প্রস্তুতি।
  5. অজিবরেখা (Ogive): কুমুলেটিভ ফ্রিকোয়েন্সি গ্রাফ।
  6. গনসংখ্যা (Population): সম্পূর্ণ ডেটা সেট।
  7. বহুভুজ (Polygon): ফ্রিকোয়েন্সি পলিগন।

পরিসংখ্যান এর বৈশিষ্ট্য

পরিসংখ্যান একটি গাণিতিক বিজ্ঞান যা উপাত্ত সংগ্রহ, বিশ্লেষণ, প্রস্তুতি, এবং প্রয়োগের জন্য একটি সম্পূর্ণ ফ্রেমওয়ার্ক প্রদান করে। এর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি নিম্নলিখিত:

  • ডেটা সংগ্রহ: পরিসংখ্যান বিভিন্ন উপায়ে ডেটা সংগ্রহ করে, যেমন জনগণনা, জরিপ, অভিযান, ইত্যাদি।
  • ডেটা বিশ্লেষণ: এটি ডেটা থেকে তথ্য বের করে এবং তা ব্যাখ্যা করে।
  • পূর্বাভাস: পরিসংখ্যান ভবিষ্যতের ঘটনা বা পরিস্থিতির পূর্বাভাস দেয়।
  • সিদ্ধান্ত নেওয়া: এটি সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সহায়ক।
  • প্রয়োগিক গুরুত্ব: পরিসংখ্যান ব্যবসা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, এবং আরও অনেক ক্ষেত্রে প্রয়োগিক।
  • ভেরিয়েবিলিটি এবং ডিস্ট্রিবিউশন: এটি ভিন্ন ধরণের ভেরিয়েবিল এবং তাদের ডিস্ট্রিবিউশন বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
  • সম্পর্ক এবং কোরিলেশন: পরিসংখ্যান দুটি বা তারও বেশি ভেরিয়েবিলের মধ্যে সম্পর্ক বোঝার জন্য সহায়ক।
  • টেস্টিং এবং ইনফারেন্স: এটি হাইপোথেসিস টেস্টিং এবং স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনফারেন্সের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

পরিসংখ্যানের গুরুত্ব কি?

পরিসংখ্যান একটি গাণিতিক বিজ্ঞান যা উপাত্ত সংগ্রহ, বিশ্লেষণ, এবং তার ব্যাখ্যার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি ব্যবসা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, রাজনীতি, এবং আরও অনেক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়। পরিসংখ্যান সঠিক নির্ণয় এবং পূর্বাভাসে সাহায্য করে, যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

এটি বিভিন্ন ধরণের উপাত্ত থেকে প্যাটার্ন খুঁজে পেতে সাহায্য করে। এটি রিস্ক এবং অনিশ্চয়তা বোঝার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ। পরিসংখ্যান সমাজের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে, যেমন রোগের প্রসার, বেকারত্ব হার, বা জনসংখ্যা বৃদ্ধি।

এছাড়া, পরিসংখ্যান বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির উন্নতির জন্য গবেষণায় অমূল্য। এটি ডেটা ড্রিভেন সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একটি অমূল্য সরঞ্জাম, যা সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সম্পূর্ণ কথা মোটামুটি, পরিসংখ্যান আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি বিভিন্ন সেক্টরে উন্নতির জন্য অপরিসীম সম্ভাবনা তৈরি করে।

সারাংস

পরিসংখ্যান একটি গুরুত্বপূর্ণ গাণিতিক বিজ্ঞান, যা ডেটা সংগ্রহ, বিশ্লেষণ, এবং তার ব্যাখ্যার জন্য মৌলিক ফ্রেমওয়ার্ক প্রদান করে। এটি বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান, এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়। 

পরিসংখ্যান ভবিষ্যদ্বাণী করে, সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে, এবং বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি রোগের প্রসার, বেকারত্ব হার, বা জনসংখ্যা বৃদ্ধির সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে এবং গবেষণা এবং প্রযুক্তির উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম প্রদান করে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *